আনিস তপন: [২] বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, তবে গত শুক্র, শনিবার গ্যাস সরবরাহে যে সংকট হয়েছে সেটা আকস্মিক হয়েছে । 

[৩] সম্প্রতি সারাদেশে গ্যাস সরবরাহে সংকট ও এর সমাধান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান, প্রতিমন্ত্রী ।

[৪] তিনি বলেন, শীতে এমনিতেই গ্যাস সরবরাহে কিছু সমস্যা হয়। তাছাড়া দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ)। একটি মেরামত করতে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। ফেরত আসার পর কাজ শুরু করলে আবার কিছু সমস্যা দেখা গেছে। দ্বিতীয় এফএসআরইউতেও কিছু সমস্যা দেখা গেছে। তবে রোববার দুটি এফএসআরইউ-ই চালু আছে। দুটির মধ্যে একটি আবার মেরামতের জন্য পাঠানো হবে। আর যেটা বিদেশ থেকে এসেছে, সেটি পূর্ণদ্যোমে কাজ শুরু করেছে।

[৫] তিনি জানান,সরকার আশাবাদী, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যে গ্যাস সংকট, সেটা আগামী দু-একদিনের মধ্যে আরও ভালো পরিস্থিতিতে যাবে। আগে জানিয়েছিলাম এটা সাময়িক। এ মুহূর্তে শিল্প এবং বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চাহিদা তিন হাজার ৮০০ এমএমসিএফ। তিন্তু সরবরাহ করতে পারি তিন হাজার ২০০ এমএমসিএফ প্রায়। বিশেষ করে শিল্প এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এখানে কিছু ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে।

[৬] নসরুল হামিদ বলেন, বেশ কিছুদিন গ্যাস ছিল না এজন্য কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। এজন্য পাওয়ার প্ল্যান্টে কিছু স্বল্পতা দেখা গেছে। তবে আশা করছি আজ-কালের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই এলপিজি ব্যবহার করে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, শিল্প কারখানা বাদ দিলে সারাদেশে গ্যাসের গ্রাহক ২০ থেকে ২৫ লাখ। ধীরে ধীরে গ্রাহকদের মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এরই মধ্যে সাড়ে চার লাখ মিটার লাগানো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী তিন বছরের মধ্যে সবার বাসায় গ্যাসের মিটার লাগানো।

[৭] প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থের জন্য গ্যাস মিটার লাগাতে দেরি হচ্ছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই অর্থের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি এবং জেবি ফাইন্যান্স করছে। এরই মধ্যে জালালাবাদ ৫০ হাজার মিটার লাগানো শুরু করেছে, আড়াই লাখ মিটার কর্ণফুলীতে কাজ শুরু করেছে, ঢাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ মিটার লাগানোর কাজ চলছে।

[৮] প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, অচিরেই বাসাবাড়ির গ্যাসের মিটার লাগিয়ে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা হবে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে সব বাসাবাড়িতে যেন নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পান, যাতে মিটার পান। ৫ থেকে ৭ বছর আগে জাইকা থেকে ফান্ড পেয়েছিলাম। এটা চলমান প্রক্রিয়া। পরবর্তীসময়ে মিটার লাগানোর জন্য প্রায় ২০ লাখ মিটার লাগাতে হবে, প্রত্যেক বাড়িতে যেতে হবে। এ প্রকল্পে এখন মোটামুটি অর্থের সম্ভাবনা পেয়েছি গত কয়েক মাস আগে। সে সম্ভাবনা অনুযায়ী কাজ করছি।

[৯] বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপরও অবৈধ লাইন হচ্ছে। অবৈধ লাইনের কারণে বড় এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বাসাবাড়ির পাইপলাইনের গ্যাস এবং এলপিজির সিলিন্ডারে দামের পার্থক্য নিরসনে বিইআরসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী